ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সিলিন্ডারের গ্যাস বেলুন, শিশুদের নিয়ে এই মরণখেলা কেন?

ফরিদুল আলম দেওয়ান. মহেশখালী :: বিশ্বজুড়ে যখন শিশুদের নিরাপত্তা জন্য শিশু বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে শিশুদেরকে বিস্ফোরণ ও সম্ভাব্য বিপদজনক খেলনা থেকে দূরে রাখা হচ্ছে এমনি সময়ে বাংলাদেশের শিশুতোষ খেলনায় এখনো এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে যার বিধ্বংসী ঘটনায় শিশু সহ বহু লোকের প্রাণহানি ঘটছে। মান্ধাতার আমলের সেই প্রাণঘাতী খেলনা ব্যবস্থায় বহু লোকের প্রাণহানি একাধিক ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের যেন মাথা ব্যাথা নেই। বারংবার ঘটে চলছে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দেশে শিশুদের খেলনা বেলুন বিক্রির এহেন ঘটনায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে বারবার মারাত্মক ট্রাজেডির সৃষ্টি হওয়ায় অভিভাবক মহলে এমন প্রশ্নের উদ্রেক সৃষ্টি হয়েছে যে, শিশুদের নিয়ে এহেন মরন খেলা কেন? এসব বিপদজনক খেলা বন্ধ করার দায়িত্ব কার?
তেমনি এক শিশুতোষ খেলনা ব্যবসা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বেলুনে গ্যাস ভর্তি করে শিশুদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া। মেলায় কিংবা হাট-বাজারের লোকসমাগমে শত শত শিশু ও লোক সমাবেশ করে বিপদজনক গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বেলুনে গ্যাস ভর্তি করে শিশুদের বিক্রি করা হচ্ছে। এমন পর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে শিশুসহ বহু লোকের প্রাণহানির ঘটনা বিদ্যমান রয়েছে।

গত ২২ জানুয়ারি মহেশখালীর মাতারবাড়ি আজিজিয়া মাদ্রাসার সভা উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী স্কুল মাঠে বসা মেলায় শিশুদের মাঝে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বেলুনে গ্যাস ভর্তি করে বিক্রি করা কালীন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশু নিহত ও ১০ জন আহতের ঘটনা ঘটে। চোখ ধাঁধানো বিভীষিকাময় এই মর্মান্তিক ট্রাজেডিতে অন্তত ১৫/২০টি পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। ৫ টি পরিবার হারিয়েছে তাদের বুকের ধনকে।
বেলুনে গ্যাস ভর্তি করে বিক্রির সময় দুর্ঘটনা এটি প্রথম নয়। ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরের ঐতিহ্যবাহী আদিনাথ মেলায় বেলুনে গ্যাস ভর্তি করার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বেলুন ব্যবসায়ী খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী গ্রামের স্বামী স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো ৪ জন আহত হয়েছিল। এ ধরনের ঘটনা দেশের বিভিন্ন স্থানে সংবাদ শোনা যাচ্ছে। কাজেই শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থে অনভিজ্ঞ ও অরক্ষিত অবস্থায় সভা-সমাবেশ মেলা ও হাটে বাজারে শিশুদের জোর করে অনিরাপদভাবে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বেলুনে গ্যাস ভর্তি করে শিশুদের বিক্রি করা থেকে বিরত রাখতে সরকারিভাবে বিধিনিষেধ আরোপের জন্য অভিভাবক মহল দাবি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: